আটচল্লিশে আঠারোটি রজনীগন্ধা

৬:০৫:০০ PM Kingshuk 0 Comments

বারো টার ঠিক পরে
একশো এক নম্বর ঘরে,
এক কাপ কফি হাতে
ডর্মমেটদের সাথে ―
কখনো দর্শন কখনো গণিতে
কখনো বা ঝালমুড়িতে,
নিশাচর আড্ডা জমে ওঠে
রজনীগন্ধার জ্বলন্ত ঠোঁটে ।

যুক্তির ডালপালা
খুশি খুশি হাসিদের মেলা,
ডুবে যাই 'ডেভ'– 'হামে'
গ্রুপ স্টাডির নামে।
বারান্দাতে রেহান স্যার
এত রাতে আর কাজ নাই তার?
প্রশ্ন জাগে মনের ভেতর ―
আরএস জীবন মানবেতর?

আড়াইটা বেজে গেলে
ডর্ম টিউটর নীচে এলে,
দল বেঁধে ভাই ভাই
একসাথে সেহরিতে যাই।
শেষ রাতের আধারে
ঘুম ঘুম চোখ বাড়ে;
সকালে ক্লাস সবার
ঘুমাও, যদি মিস হয় আবার।

ক্রিং প্রিং আলার্মের খটোমটো
ওঠো ওঠো অন্বেষার ক্লাসে ছোটো,
ক্লাস শেষে সার্কেল, সার্কেল গড়ে উঠে,
কেউ কেউ ব্যস্ত; আনন্দপুরে সুর ছোটে।
বিকালে তো বাস্কেট-ভলি আর ফুটবল,
সন্ধ্যায় স্টাডিতে, দল বেঁধে ল্যাব এ চল,
ডিনারের পর পর ঠিক নয়টা পঞ্চাশে―
হুড়াহুড়ি হুইসেল, চল সব ডর্মের উদ্দেশে।

আবার দিবস শেষ
স্মৃতি আর মূর্ছনার রেশ।
ডর্মের জোনে বসে,
প্ল্যান প্রোগ্রাম কষে;
যার যার রুমে যাও,
বিদায়? দেখা হবে, এটা ফাও!
আবার বারো টার ঠিক পরে
দেখা হবে একশো এক নম্বর ঘরে ।।

[[কিংশুক২০১৮মে২৩ব্র্যাক,সাভার০৫৩৩]]

পদটীকা:
আরএস ৪৮ এ বসে এই কবিতা/ছড়া লেখার সময় কবি মোটেও আনন্দিত ছিলেন না। হাতে গোনা কিছু মানুষ ছাড়া সবাইকেই কবির বিরক্ত লাগতো। আরএস জীবন তার কাছে দুর্বিষহ। এখানে তার মন মোটেই ভালো নাই। দুই তিন বার কাউন্সিলর এর কাছে যাবার ব্যর্থ চেষ্টাও করা হয়েছে। বেচারা মনোবিজ্ঞানীর নিজের মনে অবস্থা ভালো না, নিকট আত্মীয় মারা গেছেন। মনমরা মনোবিজ্ঞানীরা পক্ষে কি কবির মন ভালো করে সম্ভব?