হুমায়ুন আহমেদ এর বানী/উক্তি সমুহ

১২:১১:০০ AM Kingshuk 1 Comments

গুরু হুমায়ুন আহমেদ তার বিভিন্ন বই এ তার নিজের দর্শন সম্পর্কে লিখেছেন, কখনো নিজের কথা হিসেবে কখনো বা তার সৃষ্টি করা কোন ক্যারেক্টার এর মাধ্যমে। মাঝে মাঝে প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ এর সেই সব কথা গুলো পড়তে ভাল লাগে। তাই যতটুকু পেরেছি কালেকশনের চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আপনাদের কারো কাছে যদি নতুন কিছু থাকলে অবশ্যি জানাবেন কমেন্ট করে।


“ ভাসিয়ে দেবার প্রবণতা প্রকৃতির ভেতর আছে। সে জোছনা দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, বৃষ্টি দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, তুষারপাত দিয়ে ভাসিয়ে দেয়। আবার প্রবল প্রেম, প্রবল বেদনা দিয়েও তার সৃষ্টজগৎকে ভাসিয়ে দেয় ”

“ যারা সিগারেট খায় তারা যখন অস্বস্তিকর পরিবেশে পড়ে তখন তাদের সিগারেট ধরাতে ইচ্ছা করে ”

 সব পাখি জোড়ায় জোড়ায় ওড়ে। পক্ষীকুলে শুধুমাত্র চিলকেই নিঃসঙ্গ উড়তে দেখা যায়। নিঃসঙ্গতার আনন্দের সাথে এই পাখিটার হয়তো বা পরিচয় আছে 


 চমৎকার মেয়েগুলি এমন-এমন জায়গায় থাকে যে ইচ্ছা করলেই হুট করে এদের কাছে যাওয়া যায় না। দূর থেকে এদের দেখে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলতে হয় এবং মনে মনে বলতে হয়, আহা, এরা কী সুখেই না আছে 

 অনেকদিন পর মেয়ে বন্ধুরা একত্রিত হলে একটা দারুণ ব্যাপার হয়। আচমকা সবার বয়স কমে যায়। প্রতিনিয়ত মনে হয় বেঁচে থাকাটা কি দারুণ সুখের ব্যাপার 

 

 ভালোবাসা যদি তরল পানির মত কোন বস্তু হত, তাহলে সেই ভালোবাসায় সমস্ত পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমন কি হিমালয় পর্বতও 

 

 একজন কাছের মানুষ আরেকজন কাছের মানুষকে তখনি ভয় করে যখন সে তাকে বুঝতে পারে না 

 

 বাঙালি গরমের ভক্ত নরমের যম। একটু নরম দেখলেই উপায় নেই- ঝাঁপ দিয়ে পড়বে। তারা যত ঝাঁপ দেবে পুলিশ তত বিপদে পড়বে। বাঙালি জাতির যত রাগ খাকি পোশাকের দিকে। পুলিশের দিকে ঢিল মারতে পারলে তারা আর কিছু চায় না 

 

 হুট করে প্রেম হয় কনজারভেটিভ ফ্যামিলিগুলোতে। ঐ সব ফ্যামিলির মেয়েরা পুরুষদের সঙ্গে মিশতে পারে না, হঠাৎ যদি সুযোগ ঘটে যায়- তাহলেই বড়শিতে আটকে গেল 

 

 যারা মিথ্যা বলে না তারা খুব বিপদজনক। তারা যখন একটা দুইটা মিথ্যা বলে তখন সেই মিথ্যাকে সত্য হিসাবে ধরা হয়। এক হাজার ভেড়ার পালের মধ্যে একটা নেকড়ে ঢুঁকে পড়ার মতো। একহাজার সত্যির মধ্যে একটা মিথ্যা। সেই মিথ্যা হবে ভয়ংকার মিথ্যা 

 

 আমাদের মধ্যে সম্মান করা এবং অসম্মান করার দুটি প্রবনতাই প্রবলভাবে আছে। কাউকে পায়ের নিচে চেপে ধরতে আমাদের ভালো লাগে, আবার মাথায় নিয়ে নাচানাচি করতেও ভালো লাগে 

 মেয়েদের দুটি জিনিস খুব খারাপ, একটি হচ্ছে সাহস অন্যটি গোয়ার্তমি 

 

 আমি আমার নিজের দেশ নিয়ে অসম্ভব রকম আশাবাদী৷ আমাকে যদি একশোবার জন্মাবার সুযোগ দেয়া হয় আমি একশোবার এই দেশেই জন্মাতে চাইব৷ এই দেশের বৃষ্টিতে ভিজতে চাইব৷ এই দেশের বাঁশবাগানে জোছনা দেখতে চাইব 

 

 বর্তমানটাই সত্যি। অতীত কিছু না, ভবিষ্যৎ তো দূরের ব্যাপার। আমরা বাস করি- অতীতেও না, ভবিষ্যতেও না 

 

 প্রথম শ্রেণীর চামচা হচ্ছে যারা স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে চামচার ভাব ধরে থাকে। আর তৃতীয় শ্রেণীর চামচা হচ্ছে তারাই যাদের জন্মই হয়েছে চামচা হিসোবে 

 সমস্ত জীব-জন্তু ও পশু-পাখির জীবনের বেশীর ভাগ সময় কেটে যায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে গিয়ে। মানুষের জন্যও এটা সত্যি। আমরাও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজি 

 

 মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত। কখন যে এই মেয়েটি মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছে, নিজেই বুঝতে পারেন নি 

 

 মায়ের সঙ্গে মিল আছে এই জাতীয় মেয়ের প্রতি পুরুষেরা প্রচন্ড আকর্ষন বোধ করে 

 

 বিলাই আর পুরুষ মানুষ এই দুই জাতের কোন বিশ্বাস নাই। দুইটাই ছোকছুকানি জাত 

 

 সারা জীবন পাশাপাশি থেকেও এক সময় একজন অন্যজনকে চিনতে পারে না। আবার এমনও হয়, এক পলকের দেখায় একে অন্যকে চিনে ফেলে 

 জীবনে কুসিৎত সব ব্যাপারগুলি সহজভাবে ঘটে যায়। অপরূপ রূপবতী একটা মেয়ে হাসতে হাসতে কঠিন কঠিন কথা বলে 

 জীবনে কিছু কিছু প্রশ্ন থাকে যার উত্তর কখনও মিলেনা, কিছু কিছু ভুল থাকে যা শোধরানো যায়না, আর কিছু কিছু কষ্ট থাকে যা কাউকে বলা যায়না 

 একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা 

 লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী। 

 যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয় তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়। 

 বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে, বা-মা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার হয়ে যায়। 

 যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না। 

 ভালবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভাল। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়ত বা ভালবাসাটা থাকে,শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালবাসা এই দুয়ের মধ্যে ভালবাসাই হয়ত বেশি প্রিয়। 

 কখনো কাউকে অযোগ্য বলে অবহেলা করো না। ভেবে দেখো তুমিও কারো না কারো কাছে অযোগ্য। কেউ কারো যোগ্য নয়, যোগ্য বিবেচনা করে নিতে হয়। 

 যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে 

 যদি মন কাঁদে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায় 

 ট্রাফিক জ্যামেরও একটা ভাল দিক আছে। এই সময়ে রাস্তা পারাপার করতে পারা যায় 

 মেয়েরা অতি দূরের আত্মীয়কে কাছের মানুষ প্রমাণ করার জন্যে চট করে তুই বলে 

 আলো যেমন চারপাশ আলো করে তোলে একজন পবিত্র মানুষও তার চারপাশ আলো করে তুলবেই 

 ধুমপানও অভ্যাসের ব্যাপার। অভ্যাস না থাকলে সিগারেটের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসবে। আবার যারা অভ্যস্ত তারা পাগল হয়ে থাকে এই ধোঁয়াটার জন্য। 

 মেয়েরা এমনিতেই সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত হয়। পেটে সন্তান থাকা অবস্থায় সন্দেহ রোগ অনেকগুনে বেড়ে যায়। 

 বিলাই আর পুরুষ মানুষ এই দুই জাতের কোন বিশ্বাস নাই। দুইটাই ছোকছুকানি জাত। 

 সময় নেতা তৈরি করে। ঠিক সময়ে ঠিক নেতা এই কারণেই বের হয়ে আসে 

 সব গ্রেটম্যানরাই কোনো না কোনো সময়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম রবি ঠাকুর। 

 সুন্দরী মেয়েদের হাতের লেখা সুন্দর হয়। এটা হল নিপাতনে সিদ্ধ। সুন্দরীরা মনে প্রাণে জানে তারা সুন্দর। তাদের চেষ্টাই থাকে তাদের ঘিরে যা থাকবে সবই সুন্দর হবে। 

 আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমাদের যখন গুছিয়ে কথা বলা দরকার তখন টেলিগ্রাফের ভাষায় কথা বলি। আর যখন সার সংক্ষেপ বলা দরকার তখন পাঁচ শ পৃষ্ঠার উপন্যাস শুরু করি। 

 অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গন্ডারের মত। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে এই গন্ডারকে সামলানো যায় না। 

 রূপবতীদের সব অভদ্রতা ক্ষমা করা যায়। এরা অভদ্র হবে এটাই স্বাভাবিক। এরা ভদ্র হলে অস্বস্তি লাগে। 

 রূপবতীদের সব অভদ্রতা ক্ষমা করা যায়। এরা অভদ্র হবে এটাই স্বাভাবিক। এরা ভদ্র হলে অস্বস্তি লাগে। 

 মানুষ মিথ্যা কথা বলে প্রয়োজনে এবং স্বার্থের কারনে 

 মানুষের সঙ্গে গাছের অনেক মিল আছে। সবচেয়ে বড় মিল হলো, গাছের মত মানুষেরও শিকড় আছে। শিকড় উপড়ে ফেললে গাছের মৃত্যু হয়, মানুষেরও এক ধরনের মৃত্যু হয়। মানুষের নিয়তি হচ্ছে তাকে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃত্যুর ভেতর দিয়ে অগ্রসর হতে হয় চুড়ান্ত মৃত্যুর দিকে। 

 মানুষের মনের ভাব কখনোই মুখে প্রতিফলিত হয় না। মুখের ওপর সর্বদা পর্দা থাকে। শুধু মানুষ যখন হাসে তখন পর্দা দূরীভূত হয়। হাস্যরত একজন মানুষের মুখে তার মনের ছায়া দেখা যায়। 

 রুচির রহস্য ক্ষুধায়। যেখানে ক্ষুধা নেই সেখানে রুচিও নেই। 

 সত্য কথাগুলো সব সময় বক্তৃতার মতো শোনায়, মিথ্যাগুলো শোনায় কবিতার মত 

 দরিদ্র পুরুষদের প্রতি মেয়েদের একপ্রকার মায়া জন্মে যায়, আর এই মায়া থেকে জন্মায় ভালোবাসা 

 যে মানুষ নিঃশব্দে হাসে তাহার বিষয়ে খুব সাবধান। দুই ধরনের মানুষ নিঃশব্দে হাসে- অতি উঁচু স্তরের সাধক এবং অতি নিম্নশ্রেণীর পিশাচ চরিত্রের মানুষ 

 মানুষকে ঘৃণা করার অপরাধে কাউকে কখনও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি, অথচ মানুষকে ভালোবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়ত হবে 

 অতি ভয়ঙ্কর যে গরল তাহাতেও অমৃত মিশ্রিত থাকে। অতি পবিত্র অমৃতে থাকে প্রাণসংহারক গরল। খাদ ছাড়া সোনা হয় না। গরল ছাড়া অমৃতও হয় না। 

 কৌতুহল আমাদের সবারই আছে, কিন্ত কৌতুহল মেটানোর জন্যে প্রয়োজনীয় পরিশ্রমটি আমরা করি না। করতে চাই না। 

 কিছু মানুষ ধরেই নিয়েছে তারা যা ভাবছে তাই ঠিক। তাদের জগতটাই একমাত্র সত্যি জগত। এরা রহস্য খুঁজবে না। এরা স্বপ্ন দেখবে না। 

 পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ সব সময় থাকবে সমান সমান। বিজ্ঞানের ভাষায় আনন্দের সংরক্ষণশীলতা। একজন কেউ চরম আনন্দ পেলে, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হবে। 

 বাঙ্গালীকে বেশি প্রশংসা করতে নেই। প্রশংসা করলেই বাঙালি এক লাফে আকাশে উঠে যায়। আকাশে উঠে গেলেও ক্ষতি ছিল না- আকাশ থেকে থুথু ফেলা শুরু করে। 

 গল্প উপন্যাসের নায়ক-নায়িকাদের সুখ-দুঃখে যারা কাতর, তারা সাধারণত নিজেদের সুখ দুঃখের ব্যাপারে উদাসীন হয়। 

 রিকশায় চড়ায় একটা রাজকীয় ব্যাপার আছে। মাথা সামান্য উচু করলেই আকাশ দেখতে দেখতে যাওয়া যায়। 

 সূর্যোদয় দেখাটা অত্যন্ত জরুরী। এই দৃশ্যটি মানুষকে ভাবতে শিখায়। মন বড় করে। 

 আদর্শ মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। আদর্শ মানুষ ডিসটিল্ড ওয়াটারের মতো - স্বাদহীন। সমাজ পছন্দ করে অনাদর্শ মানুষকে। যারা ডিসটিল্ড ওয়াটার নয় - কোকাকোলা ও পেপসির মতো মিষ্টি কিন্তু ঝাঁঝালো। 

 যত্ন করে কাঁদানোর জন্য 
খুব আপন মানুষগুলোই যথেষ্ট! 

 চাঁদনী পসর রাতে যেন আমার মরণ হয় 

 একসাথে কখনো সবাইকে সুখী করা সম্ভব না | আপনি কখনই পারবেন না | কাউকে না কাউকে অসন্তুষ্ট রাখতেই হবে | আর তাতেই মনে হয় নিজের গোটা পৃথিবীর একটা প্রান্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায় 

 মায়ের অভিশাপ কখনো সন্তানের গায়ে লাগেনা। দোয়া গায়ে লাগে, অভিশাপ গায়ে লাগেনা। হাঁসের গায়ের পানির মত অভিশাপ ঝরে পড়ে যায়। 

 ব্যবহার করা কপালের টিপটার আঠা নষ্ট হলেও মেয়েরা সেটা যত্ন করে রেখে দেয়।একজোড়া কানের দুলের একটা হারিয়ে গেলেও অন্যটা ফেলে না। পুরাতন শাড়িটা, ভাঙা চুড়িটা, নষ্ট হয়ে যাওয়া মোবাইল টা কাজে লাগবেনা জেনেও তুলে রাখে,সবকিছুর কারণ হল মায়া। মেয়েরা মায়ার টানে ফেলনা জিনিসও ফেলে না 

 অসংখ্য কষ্ট, যন্ত্রণা পেয়েও মেয়েরা মায়ারটানে একটা ভালোবাসা, একটা সম্পর্ক, একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে চায়। এই জন্য মেয়েরা মায়াবতী আর মায়াবতীর কোনো পুরুষবাচক শব্দ নেই 

 পুরুষদের আহত করার কৌশল মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলে এবং তা ব্যবহারও করে চমৎকার ভাবে। কেউ তার প্রতিভার বাইরে যেতে পারে না 

 ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে। 

 সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, তোমাকে শুধু এমন একজন কে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে 

 মানব জাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিরাপদ মনে করা 

 যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী 

 মানব জীবন হলো অপেক্ষার জীবন 

 যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না 

 মেয়েরা ব্যাক্তিগত চাহিদার কাছে কখনো পরাজিত হয় না 

 মানুষের কষ্ট দেখাও কষ্টের কাজ 

 দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না 

 নোংরা কথা শুনতে নিষিদ্ধ আনন্দ আছে, কথা যত নোংরা তত মজা 

 গার্লফ্রেন্ড বিহীন তরুনের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা, ঘাসবিহীন মাঠে গরুর পায়চারির মত 

 প্রতিটা মেয়ে হয়ত তার স্বামীর কাছে রানী হয়ে থাকতে পারে না। কিন্তু প্রতিটা মেয়েই তার বাবার কাছে রাজকন্যা হয়ে থাকে 

 যে মানুষটিকে তুমি দেখছো তাকেই যদি ভালো না বাসতে পারো, তবে তুমি কিভাবে ঈশ্বরকে ভালোবাসবে যাকে তুমি কোনদিন দেখোই নি? 

“ হাসি সবসময় সুখের কারণ বুঝায় না
মাঝে মাঝে এটা ও বুঝায় যে আপনি
কতটা বেদনা লুকাতে পারেন ”

 অপেক্ষা হলো শুদ্ধতম ভালোবাসার একটি চিহ্ন। সবাই ভালোবাসি বলতে পারে। কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালোবাসা প্রমাণ করতে পারে না। 

 ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লিখা থাকে!! 

 তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো। আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না। 

 এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে 

 পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়। 

 ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি। 

 কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত 

 সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে! 

 গল্প উপন্যাস হল অল্প বয়সী মেয়েদের মাথা খারাপের মন্ত্র 

 একজন বিবাহিত মেয়ে কোন দিনই কুমারী জীবনে ফিরে যেতে পারে না। কিন্ত কাছাকাছি হয়ত যাওয়া যায়। চেস্টা করলেই যাওয়া যায়। 

 কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়। 

 সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের।

 কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা রূপবতী তরুণীদের অগ্রাহ্য করে একধরনের আনন্দ পায়। সচরাচর এরা নিঃসঙ্গ ধরনের পুরুষ হয়, এবং নারী সঙ্গের জন্যে তীব্র বাসনা বুকে পুষে রাখে। 

 গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা। 

 মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই
ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায় 

 কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়। তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না। তাদের কিছু অবাক্ত কথা মনের গভীরেই রয়ে যায়, আর কিছু কিছু স্মৃতি - এক সময় পরিনত হয় দীর্ঘশ্বাসে। 

 মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না।
মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ 

 চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না।
অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই।
অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম। 

 মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা 

 পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয় - মানসিক কষ্ট। 

 সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল। 

 বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। 

 মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও অতিক্রম করে যায়! 

 ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে। 

 ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট 

 গভীর ঘুমের স্বপ্নগুলি অন্যরকম হয়। স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকে না। বাস্তবের কাছাকাছি চলে যায়। হালকা ঘুমের স্বপ্নগুলি হয় হাল্কা,অস্পষ্ট কিছু লজিকবিহীন এলোমেলো ছবি। গাঢ় ঘুমের স্বপ্ন-স্পষ্ট, যুক্তিনির্ভর। 

 ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে, কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে। হয়ত খুবই অল্প সময়ের জন্য, অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে, আর না হয় সব সময়ের জন্য। তবে প্রেমে তারা পড়বেই। 

 জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়-জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি। 

 দিতে পারো একশ ফানুশ এনে?
আজন্ম সলজ্জ সাধ
একদিন আকাশে কিছু ফানুশ উড়াই 

 বোকা মানুষ গুলো হয়তো অন্যকে বিরক্ত করতে জানে। কিন্তু কখনও কাউকে ঠকাতে জানে না। 

 মা হল পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা 

 মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় তাঁকে খুঁজে বের করুক। 

 ছেলেদের জন্য পৃথিবীতে সব চাইতে মূল্যবান হল মেয়েদের হাসি 

 পৃথিবীতে এমন কোনো কাজ নেই যা করলে জীবন ব্যার্থ হয়। জীবন এতই বড় ব্যাপার যে একে ব্যার্থ করা খুবই কঠিন 

 মানুষের পুরো জীবনটা হচ্ছে একটা সরল অংক। যতই দিন যাচ্ছে, ততই আমরা তার সমাধানের দিকে যাচ্ছি। 

 মানুষের সমগ্র অতীত তার চেহারায় লেখা থাকে। যারা সেই লেখা পড়তে পারে তারা মানুষকে দেখেই হুড়হুড় করে অতীত বলে দিতে পারে 

 আমার শৈশবটা কেটে গেছে দুঃখমেশানো আনন্দে-আনন্দে। যতই দিন যাচ্ছে সেই আনন্দের পরিমাণ কমে আসছে। আমি জানি, একসময় আমার সমস্ত পৃথিবী দুঃখময় হয়ে উঠবে। তখন যাত্রা করব অন্য ভুবনে, যেখানে যাবতীয় আনন্দ বেদনার জন্ম 



1 টি মন্তব্য:

golper asor বলেছেন...

অনুপ্রেরণা ও সফলতার গল্প, শিক্ষামূলক ছোট গল্প, ইসলামিক ঘটনা, মোটিভেশনাল উক্তি, রহস্য গল্প এবং অবাক করা সব ঘটনা পড়তে ভিজিট করুন অনুপ্রেরণা ডটকম