রুপকথা
চলুন একটা রূপকথার গল্প শুনি।
এক দেশে ছিল এক রাজা। যে সেই রাজা নয়। মহারাজা। তার ছিল অসম্ভব সুন্দরী রানি। রাজা রানির মধ্যে ছিল বেজায় ভাব। অসহ্য ভালবাসা ছিল তাদের মধ্যে। সুখের রাজ্য। দেশে কোনো অশান্তি ছিল না। ঘরে ঘরে ছিল সুখের শোভা। রাজ্যের প্রতিটি প্রাণীই রাজাকে সম্মান করত। রাজাকে পছন্দ করত। পাশের কোনো রাজ্যের সাথে মহারাজের কোনো বিরোধ ছিল না। সবাই বন্ধু দেশ।
রানি ছিল পাশের রাজ্যের রাজকন্যা। সেই রাজ্য একদিন ভিন্ন রাজ্যের খারাপ ও যুদ্ধবাজ রাজার কুনজরে পরল। আক্রমণের দৃঢ়তায় প্রতিহত হল রানির বাবার রাজ্য। বন্দী হলেন সবাই। বদ রাজাটা গুনে গুনে সবাইকে কারারুদ্ধ করল। শুধু দেখতে পেল না বড় রাজকন্যা কে। কি করে দেখবে? বড় রাজকন্যা যে মহারাজ ফাহাদ এর মহারানী।
তাই তারা মহারাজ ফাহাদের রাজ্য আক্রমণ চালালো। শুধু মহারানী কে ধরে নিয়ে যাবে বলে। অনেক যুদ্ধ হল। যুদ্ধে মহারাজের অনেক সৈন্য মারা গেল। রাজকোষ বিপর্যিত হল। তারা মহারাজা কে ধরে ফেললো।
মহারাজ কে ঘিরে আক্রমণকারী রা দাঁড়াল। মহারানীর কথা জিজ্ঞাস করল। মহারাজা বলল প্রাণ থাকতে তারা মহারানীর নখের দিশাও পাবে না। তারা বলল তাহলে মহারাজকে হত্যা করবে। এই কথা শুনে মহারাজ উচ্চস্বরে হা হা হা করে হাসতে লাগল। তারা মহারাজ কে হাসির কারণ জিজ্ঞাসা করলে মহারাজ বলল যে মহারাজ ফাহাদ কে হত্যা করার সাথে সাথে মহারানীও মারা যাবে। কারণ তাদের জীবন এঁকে অন্যের সাথে যুগলবন্দী। তাই মহারানী কে পেতে হলে মহারাজাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
তারা মহারাজা কে হত্যা করল না ঠিকই কিন্তু তাকে রাজ্য বন্দী করল। সব বন্ধু রাজ্য নিজেদের স্বার্থের জন্য মহারাজা ফাহাদ কে সাহায্য করা থেকে বিরত থাকল। মহারাজা চিন্তায় পরে গেল। তার মেজাজ আস্তে আস্তে খিট খিটে হতে শুরু করল। কারও সাথেই ঠিক মত কথা বলে না। রাজ কার্যে তেমন মন নেই। এমন কি মহারানীর সাথেও ঠিক মত কথা বলে না। মহারানী অন্দরমহলে থেকে এই যুদ্ধবিগ্রহ কোনো কিছুই জানত না। এদিকে মহারাজা মহারানীর বাবার রাজ্য এবং পরিবার নিয়ে চিন্তিত। কি করে তাদের রক্ষে করা যায়। এই নিয়ে ব্যস্ত।
একদিন মহারানী এসে মহারাজের সাথে গল্প জুড়ে দিল। না না কথা বলছিল। মহারাজার মেজাজ এমনিতেই ভাল ছিল না। কারণ শ্বশুর এর রাজ্য মুক্ত করার কোনো কৌশলই বের করতে পারছিল না সে। তাই মহারাজা মহারানী কে বলেছিল ভিতরে চলে যেতে। কিন্তু মহারানী চাচ্ছিল মহারাজার কাছে থাকতে। একপর্যায়ে মহারাজা জোরপূর্বক মহারানীকে ভেতরে পাঠিয়ে দেয়।
ফলাফল,
মহারানী তার মহারাজার উপর বেজায় রেগে আছেন। তার রাগ ভাঙ্গানোর কোনো উপায় রাজা খুঁজে বের করতে পারছে না। তাই সে একটি চিঠি লিখল মহারানীর কাছে।
প্রিয় মহারানী,
সারা দিন যাহাই করি না কেন গোধূলি লগ্নের পর আমাকে ফিরিয়া আসিতে হইবে তোমারই নিকটে। কারণ আমি যে তোমায় ছাড়া কিছুই নই।
তাই আমাকে প্রত্যাখ্যান কর না। গ্রহণ করিয়া লও মোর ভালবাসা।
ইতি মহারাজা
চিঠি খানা পেয়ে মহারানীর মন গলে গেল। তার রাগ ভাঙল।
অতঃপর দুজন মিলে সব সমস্যার অবসান ঘটাল। এবং ধরায় নেমে এলো শান্তির স্পর্শ।
খারাপ রাজা বন্দী হল। আগের মত সবাই শান্তি ফিরে পেল।
মহারাজা আর মহারানীর ঘর আলো করে জন্ম নিলো রাজকন্যা। ফুটফুটে রাজকন্যা খুশির বয়ে আনল সবার মনে।
[সমাপ্ত]
পরিশেষঃএইটা আদৌ রূপকথা হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে। ভুলভ্রান্তি নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।
[[২০১৪অগাস্ট৩১ঢাকা১১৪৯King.afk]]
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন