কফি-বিনে ...কফি-চিত্র [কুহু'র আঁকা ছবি]

২:০০:০০ AM Kingshuk 0 Comments

শুক্রবার।
ছুটির দিনে একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা যেতেই পারে। আস্তে ধীরে অব্যাস্ত ভঙ্গিতে ঘুম থেকে উঠে আরমোরা ভাংতে ভাংতে রান্নাঘরের দিকে। পা এগুচ্ছে প্রচণ্ড অনিচ্ছায়। এক কাপ কফি খেতে খেতে সকাল টা শুরু হোক তবে। 
চুলোয় তো হাড়ি চড়লো কিন্তু বিধিতে যে কফি নেই সখা। কফির কৌটায় বাসা বেঁধেছে সফেদ ফাঙ্গাস। মুখ বাঁকা করে বিরসে বকাবকি করবে এমন সময় খিল খিল করে হেসে ফেললো ফাঙ্গাসের ছেলেপুলেরা। বড্ড পাঁজি। কফি বিনে তুমুল টর্নেডো শুরু করেছে। তাদের উৎপাত কেন এক চিলতে খুশি এনে দিয়েছিল ঠোঁটে তা না হয় পরে শোনা যাবে। 
এখন চলেন দেখি কিভাবে প্রিয় বান্ধবি কুহু বানিয়ে ফেললো চমৎকার কিছু কফি-চিত্র।

ছোট বেলায় একটা লাল বেলুনে উড়তে চেয়েছিল নীল আকাশে, সেই আকাশ টা আজ এই ছোট্ট শিশুর 
বেলুন ও বাবুন
  
 ছোট বেলায় দুপুরের পড়ে অথবা ঠিক দুপুরে সে পড়ার টেবিলে পড়তো, তখন একটা ছোট্ট বিড়াল অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকতো আর ভাবতো "এই সময় কেউ পড়ে?" 


বিড়াল বিস্ময় 
প্রথম যখন প্রেমে পড়েছিল, খুব খুব অল্প বয়সী আহ্লাদি আর ছেলেমানুষি কাজ করতে মন চাইতো। মনে হত হাতের মধ্যে হাত রেখে হয়তো চিরকাল বসে থাকা যাবে একলা নদীর পাশে। আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে থাকা একজোড়া অবুঝ হৃদ-হস্ত।  
হৃদ-হস্ত

মাঝে মাঝে মধ্যরাতে খুব খুব একা একা লাগে, মনের মধ্যে যে ছোট্ট নদীটা আছে, সেটার পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে একমনে। যতসব বড় বড় বড়-হওয়াদের সমস্যা ঝেড়ে মুছে তকতকে করে দেয় ছোট বেলার ছোট নদীটা। 

সাদা শান্ত শান্তি

হৃদ মাঝারে কয় কুঠরি,
কয়বা তাহার মহা ধমন,
এই হৃদে তো একটি আসন, 
শরীর তারেই করে বাসনা। 
হৃদ-কুঠরির কষাঘাত

কি সুন্দর না? অসাধারণ গুনী এই বান্ধবীর নাম "কুহু কিন্নরী"। যদি তপবনে হয় দেখায় কফি-চিত্রীর সনে এক পসলা বৃষ্টিতে তার অন্তত একখানা গান শুনিতে ভুলিবেন না।  

[[বিঃদ্রঃ এই গল্পগুলোর সাথে কুহুর কোনোরকম যোগ নাই। একান্তই কল্পনা বিলাস।]] 

কিংশুক
শাহজাহানপুর,ঢাকা
২০১৬ নভেম্বর ১২ শনিবার ০১৫৫