ভ্রমরা তুমি উড়িয়া বসেছো কোন ফুলে
আমার বারান্দা থেকে খুব ভালো সূর্যাস্ত দেখা যায়।
সময় পেলেই আমি আমি পড়ন্ত বিকেলে চলে আসি আমার বারান্দায়। গভির মনোযোগে সূর্যাস্ত দেখি।
প্রচণ্ড গরম পরেছিল আজকে। আর আমাকে পেয়ে বসেছিল হিমেল হাওয়ায় প্রাণ জুড়ানোর নেশায়।
গোধূলির কমলা আভা মিইয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। আমি অপেক্ষা করছি অন্ধকারের। যেই অন্ধকারে আমায় কেউ দেখে না। যে অন্ধকার কেউ চায় না।
...
আধার নেমেছে, তার সাথে উচ্ছৃঙ্খল শীতল বাতাস। প্রকান্ড গর্জন আকাশের। তারপর? তারপর সব শান্ত। আমার মত আজ প্রকৃতিও সর্বশান্ত। সেও আজ কেঁদে উঠতে চায় হারাবার বেদনায়।
বৃষ্টি হচ্ছে। আর হাড় কাপানো কনকনে শীতল বাতাস। একটা পাতলা চাদর গায়ে জড়িয়ে আমি নেমে পরেছি রাস্তায়।
...
এরকম এক বৃষ্টিময় সন্ধ্যায় সে আমায় ডেকেছিল বৃষ্টি-বিলাসে। দেখিয়েছিল বরষার প্রেম। শুনিয়েছিল রুমঝুম রুমঝুম বৃষ্টির কবিতা। সে সেদিন আমায় শিখিয়েছে জলের প্রনয়।
আমি হেটে যাচ্ছি ভেজা শহরের বুকে। সেই জায়গায়। যেখানে সে নেচেছিল বারিধারায়। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। আমি বসেছি সেই চেনা মোজাইকের বেঞ্চটাতে। সামনে কিছুটা দূরে আসমানি শাড়ি পড়া একজন সুদর্শনা তার সাথের মানুষটাকে পরম মমতায় বৃষ্টি দেখাচ্ছে। আজ তার পালা বৃষ্টি বিলাসের।
হঠাৎ হর্ণ বাজাতে বাজাতে একটা প্রাইভেট কার ছুটে গেলো পাশের রাস্তা দিয়ে। কিছুক্ষণের জন্য আসমানি শাড়ি পড়া মেয়েটির মুখ স্পষ্ট হয়েছিল আমার সামনে।
তারপর অন্ধকার। মেয়েটি ছেলেটাকে শিখিয়ে যাচ্ছে। আমি পাথরের মত তাকিয়ে আছি সেদিকে। আলোআঁধারির এই খেলা না হলেই বোধয় ভালো হত; হয়তো তখন আমার গালে শুদ্ধ জল আর নোনা জলের ধারা এক হত না।
...
পৃথিবীর সব খেলা একই থাকে সব সময় শুধু বদলে যায় খেলোয়ার। পাশার দান শুধু বদলায়, কোটটা ঠিক আগের মতই।
[[কিংশুক২০১৬মে০২শান্তিবাগ,ঢাকা০২৩৬]]
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন