আবদার ~~ আদিবা তাসনিম
প্রিয়
বাবা,
শুভ
সকাল বাবা। তোমাকে একটা কথা বলার ইচ্ছুক আছি।
আমি
ছবি আঁকতে পারি না। কিন্তু ছবি আঁকতে পছন্দ করি। একটা বইয়ে পড়েছিলাম, যারা পড়ালেখা
ছাড়া আর কিছু করে না তাদের জীবন আর তেলাপোকার জীবনের মধ্যে কোনো তফাৎ নাই। আমার জীবন
আর তেলাপোকার জীবন সমান হোক, তা আমি চাই না। হ্যাঁ, তুমি বলতে পারো এই বছর আমার PEC এর বছর। এই বছর ছবি আঁকলে পড়ালেখার
ক্ষতি হবে। আমি জানি আমার পড়ালেখার ক্ষতি হবে। আমি এই বছর একটুও ছবি আঁকবো না। কিন্তু
ছবি আঁকতে যা যা লাগে যেমন পানি রঙ, ছবি আকার খাতা, রংপেন্সিল, পেন্সিল, জরির কালারিং
কলম, রঙ্গিন কাগজ ইত্যাদি কিনে দিয়ো। আমি জানি, সব কিছু একসাথে কিনে দিতে তোমার সমস্যা
হবে। পানি রং, ছবি আকার খাতা, জরির কলম এসব এখন না দিলেও চলবে। এখন শুধু রংপেন্সিল,
পেন্সিল, রঙ্গিন কাগজ, ধারালো কেচি, গ্লু ও স্কচটেপ কিনে দিতে হবে। না বাবা না, এই
মাসে না, জুন মাসে। প্রমিস, এইগুলো আনার পর একবারও ধরবো না। রোজার ঈদে ও কোরবানির ঈদের
সময় এইগুলো সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাবো। তখন শুধু আঁকবো।
উত্তরটা
তুমি চিঠি লিখেই দিবে কিন্তু তোমার কষ্ট করতে হবে না বাবা। এই খামে ছোট একটা খাম আছে
আর চার টুকরা কাগজ আছে। যেগুলোর মধ্যে “হ্যাঁ”, “না”, “পরের
বছর”, “দেখতেছি
ব্যাপারটা” লেখা আছে। যেটা তোমার উত্তর
সেটা ছোট খামে ভরে আমার কাছে দাও।
ইতি,
তোমার
আদরের মেয়ে নাকি জানি না,
আদিবা
তাসনিম।
পরিশিষ্টঃ
- ২০১৬ মে ২৭, শুক্রবারে একটা ছোট্ট মেয়ে তার বাবাকে এই চিঠি লিখেছে। বানান ও বাক্য সামান্য পরিমার্জিত ও সংশোধিত।
- এই চিঠি পাবার পর সাথে সাথে ছোট মেয়েটার দাবি পূরন করা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্।
- লেখিকা কিংশুকের ছোট বোন। সে মাদ্রাসায় পড়ে। পবিত্র কোরআন হেফজ করছে। আবার স্কুল এর পড়াশোনাও করছে। সে ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে অংশগ্রহন করবে। #দোয়াপ্রার্থি।
আদিবার নিজ হাতে লেখা আসল পত্র খানা |
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন