অতিশের অতশী - পর্ব এক
অতিশের অতশী - পর্ব এক
আবছা অন্ধকার। ছোট্ট একটা রুম। একটা ছোট খাট, একটা পড়ার টেবিল, একটা চেয়ার। টেবিলে হারিকেন জ্বলছে।
আধ লেখা একটা কাগজ হাতে নিয়ে মন খারাপ করে বসে আছে অতিশ।
প্রচন্ড মেজাজ খারাপ তার। খুব কষ্টে কটা টাকা জোগাড় করেছিল সে। একটা দামী কাগজ কিনেছে প্রেমিকার কাছে চিঠি লিখবে বলে। পাশের বাড়ির 'পটকা'র স্কুলে যাবার ব্যাগ থেকে অনেক কষ্টে একটা কলম সরিয়েছিল।
বিধাতার বিধান।
অর্ধেকের মত কেবল লিখেছিল। যেই না রোমান্টিক দুটা লাইন লিখবে বলেছে ভেবেছে ঠিক তখনি কলমটা 'মট' করে ভেঙ্গে গেল।
অতিশের প্রেমিকার সাথে অতিশের খুব বেশি দেখা হয় না। ছ'মাসে একবার। কোনোকোনো সময় আবার তাও হয় না।
কিন্তু অতিশের প্রেমিকা অকে নিয়মিত চিঠি লেখে।
সপ্তাহে দুটা। একটা সোমবারে আরেকটা শুক্রবারে।
অতিশ খুব মন দিয়ে চিঠি গুলো পড়ে। তার খুব ইচ্ছে করে প্রতিটি কথার জবাব দিতে। ইচ্ছে করে বলতে সে ভোর রাতের স্বপ্নে দেখেছে তাকে- অপরুপ সুন্দর করে সেজেছিল সে বিয়ের পোশাকে।
সামর্থ না থাকায় মাসে দুটার বেশি চিঠি লিখতে পারে না অতিশ।
কিন্তু চার মাসে একটাও চিঠি লিখতে পারে নি অতিশ।
প্রচন্ড অসুখ করলো। মহাজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধারে নিয়েছিলো। এখন শোধ করতে হিমসিম খাচ্ছে। তার মদ্ধেও কটা টাকা সে বাচিয়েছিল কদিন দুপুর বেলা না খেয়ে থেকে।
অতিশের খুব কান্না পাচ্ছে। দুঃখ কষ্টে যন্ত্রনায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে। তার শরীর থর থর করে কাঁপছে প্রচন্ড ক্রোধে।
বাইরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তেল ফুরিয়ে হারিকেন নিভে গেছে। অতিশ ঘরের পাশের ফাকা জায়গাটাতে দাঁড়িয়ে আছে। শীতল বারিধারা তাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। ভিজেতে ভিজতে সে আকাশ দেখছে। তার চোখের জল আর বৃষ্টির জল এক হয়ে হাতে ধরা আধ লেখা প্রেম পত্রকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।
#কিংশুক #২০১৫জুলাই১০শান্তিবাগ,ঢাকা১৭৪২
আবছা অন্ধকার। ছোট্ট একটা রুম। একটা ছোট খাট, একটা পড়ার টেবিল, একটা চেয়ার। টেবিলে হারিকেন জ্বলছে।
আধ লেখা একটা কাগজ হাতে নিয়ে মন খারাপ করে বসে আছে অতিশ।
প্রচন্ড মেজাজ খারাপ তার। খুব কষ্টে কটা টাকা জোগাড় করেছিল সে। একটা দামী কাগজ কিনেছে প্রেমিকার কাছে চিঠি লিখবে বলে। পাশের বাড়ির 'পটকা'র স্কুলে যাবার ব্যাগ থেকে অনেক কষ্টে একটা কলম সরিয়েছিল।
বিধাতার বিধান।
অর্ধেকের মত কেবল লিখেছিল। যেই না রোমান্টিক দুটা লাইন লিখবে বলেছে ভেবেছে ঠিক তখনি কলমটা 'মট' করে ভেঙ্গে গেল।
অতিশের প্রেমিকার সাথে অতিশের খুব বেশি দেখা হয় না। ছ'মাসে একবার। কোনোকোনো সময় আবার তাও হয় না।
কিন্তু অতিশের প্রেমিকা অকে নিয়মিত চিঠি লেখে।
সপ্তাহে দুটা। একটা সোমবারে আরেকটা শুক্রবারে।
অতিশ খুব মন দিয়ে চিঠি গুলো পড়ে। তার খুব ইচ্ছে করে প্রতিটি কথার জবাব দিতে। ইচ্ছে করে বলতে সে ভোর রাতের স্বপ্নে দেখেছে তাকে- অপরুপ সুন্দর করে সেজেছিল সে বিয়ের পোশাকে।
সামর্থ না থাকায় মাসে দুটার বেশি চিঠি লিখতে পারে না অতিশ।
কিন্তু চার মাসে একটাও চিঠি লিখতে পারে নি অতিশ।
প্রচন্ড অসুখ করলো। মহাজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধারে নিয়েছিলো। এখন শোধ করতে হিমসিম খাচ্ছে। তার মদ্ধেও কটা টাকা সে বাচিয়েছিল কদিন দুপুর বেলা না খেয়ে থেকে।
অতিশের খুব কান্না পাচ্ছে। দুঃখ কষ্টে যন্ত্রনায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে। তার শরীর থর থর করে কাঁপছে প্রচন্ড ক্রোধে।
বাইরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তেল ফুরিয়ে হারিকেন নিভে গেছে। অতিশ ঘরের পাশের ফাকা জায়গাটাতে দাঁড়িয়ে আছে। শীতল বারিধারা তাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। ভিজেতে ভিজতে সে আকাশ দেখছে। তার চোখের জল আর বৃষ্টির জল এক হয়ে হাতে ধরা আধ লেখা প্রেম পত্রকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।
#কিংশুক #২০১৫জুলাই১০শান্তিবাগ,ঢাকা১৭৪২
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন